ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ে বাংলাদেশ এর অবস্থান অষ্টম এবং বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ। বিশ্বে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে। বাংলাদেশে এই খাতে আয় ১ বিলিয়ন হলেও, সম্ভাবনা আছে ৫ বিলিয়ন ডলারের। কিন্তু এই ৫ বিলিয়ন ডলার আয় এর লক্ষ্য পূরণ করতে ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা ৫ গুণ বৃদ্ধি করতে হবে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের ‘ডিজিটাল ইকোনমাই রিপোর্ট-২০১৯’ মতে, বৈশ্বিক এ খাতে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, যাদের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক ডিজিটালাইজেশন শুধু পণ্য ও সেবার উদ্ভাবনই বাড়ায় না, সাথে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি করে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে জোরালো করে। 

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪ কোটি ৪০ লাখ তরুণদের প্রতি ১০ জনের একজন বেকার। প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয় পেরোনো হাজার হাজার শিক্ষার্থী মনের মতো চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে আছেন। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নানা সুযোগ রয়েছে।  বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এতে করে তারা শুধু নিজের জীবিকাই নিশ্চিত করবে না, বরং দেশে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অনবে সমর্থ হবে যা ‘নতুন বাংলাদেশ’র অর্থনৈতিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

যুবসমাজের বিশাল জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ, এশিয়ার কয়েকটি দেশগুলোর মধ্যে একটি। এর ১৬৩ মিলিয়ন লোকের মধ্যে প্রায় ৬৫% পচিশ বছরের কম বয়সি। এই বিশাল, তরুণ ও শক্তিশালী মানবসম্পদ, এখনো প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়জ্ঞানের অভাব রয়েছে। যদিও ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, হাজার হাজার বাংলাদেশের তরুণ এই সুযোগটি কাজে লাগাতে তাদের সহায়তা করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সরকারি সহায়তার প্রয়োজন। আমাদের আইটি সেক্টর এবং আইটি উন্নয়নের উত্থানের কারণে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং বেড়েছে। দেশের অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে সরকারকে এই খাতে জোরদার হতে হবে যা প্রচুর বিদেশি রেমিট্যান্স উৎপাদন করতে পারে। আউটসোর্সিং বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে এবং তা অর্থনীতির সার্থকতা অব্যাহত রাখবে বলে ধারণা করা যায়।

আমাদের ডব্লিউ-থ্রি-টপার একাডেমীর প্রায় ৩ হাজারের এর বেশি স্টুডেন্ট প্রতিমাসে অন্তত ৭ লক্ষ ডলার রেমিট্যান্স দেশে নিয়ে আসছে। নিঃসন্দেহে এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

আমাদের একাডেমীতে থেকে প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক তারা আমাদের ফেসবুক পেইজে ম্যাসেজ দিতে পারেন অথবা সরাসরি কল করতে পারেন।
ফেসবুক পেইজঃ https://facebook.com/w3topper

আমাদের হেল্পলাইনঃ 01730724301, 01730724302, 01312760476

Leave a Reply

error: Content is protected !!